ঢাকা , সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫ , ২২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বয়স কত হলে নিয়মিত প্রেশার মাপবেন

ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় : ০৩-০১-২০২৫ ০৮:১১:০০ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ০৩-০১-২০২৫ ০৮:১৪:১৮ অপরাহ্ন
বয়স কত হলে নিয়মিত প্রেশার মাপবেন প্রতীকী ছবি
ভাবছেন, কোনো লক্ষণ নেই, তাহলে রক্তচাপ মাপার দরকার কী? আবার কেউ কেউ ভাবেন, বয়স বেশি হলে একটুআধটু রক্তচাপ বেশি হতে পারে, এতে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। এমন ভাবনা ভুল তো বটেই, বিপজ্জনকও। কিন্তু না। শরীরের খবর নিতে নিয়মিত রক্তচাপ বা প্রেশার মাপা উচিত। কারণ এই একটি রোগ থেকে হাজারো রোগ সৃষ্টির কারণ হতে পারে।

কত বছর বয়স থেকে প্রেশার মাপতে হবে এ বিষয়ে চিকিৎসকরা কথা সাবধান করেছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে মেডিসিনের চিকিৎসক ডা. রুদ্রজিৎ পাল এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন। 

রক্তচাপ কী
সহজ ভাষায় বলা যায় রক্তনালিতে রক্ত প্রবাহিত হওয়ার সময় যে চাপ তৈরি হয় তাকেই রক্তচাপ বা প্রেশারর বলা হয়। এই প্রেশার সাধারণত দুই ধরনের হয়, উপরের প্রেশার হলো সিস্টোলিক। আর নীচের প্রেশার হলো ডায়াস্টোলিক। এক্ষেত্রে সিস্টোলিক প্রেসার ১৩০ পেরোলে বা ডায়াস্টোলিক প্রেশার ৮০-এর গণ্ডি পেরোলেই হাই প্রেশার বলে ধরে নিতে হয়। তবে একবার রিডিং নিয়ে এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায় না। পরপর ৩ দিন রিডিং নেওয়া জরুরি। তারপর সিদ্ধান্তে আসা যায়।

প্রেশার মাপার বয়স
ডা. রুদ্রজিৎ পাল বলেন, আজকাল অনেকে কম বয়সেও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। তাই এখন বয়স মোটামুটি ২০ পেরোলেই অন্তত একবার প্রেশার চেক করা জরুরি। রিডিং ঠিক থাকলে তারপর আর করার প্রয়োজন নেই। তবে বয়স যদি ৩০ পেরিয়ে যায়, তখন নিয়ম করে বিপি মাপতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতি ৬ মাস অন্তর একবার রিডিং নেয়া জরুরি। একমাত্র এই নিয়মটা মেনে চললে রোগকে প্রথম স্তরেই ধরে ফেলে তার চিকিৎসা করা সম্ভব হবে।

ঝুঁকিতে যারা
বর্তমান সময়ে কমবেশি সবার প্রেশার হচ্ছে। তবে অনেকেই বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। যাদের ওজন বেশি সঙ্গে একাধিক রোগে ভুগছেন তাদের হাই প্রেশারের ঝুঁকি আছে। তাই যাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন।  এছাড়া যাদের ইতোমধ্যেই ডায়াবিটিস, থাইরয়েড বা অন্য কোনও ক্রনিক অসুখ রয়েছে, তাদেরও হাই প্রেশারের ঝুঁকি থাকে। পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে এই রোগ থাকলেও হাই প্রেশারে ভুগতে পারেন।  

বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ